LEED সার্টিফিকেশন: ভবিষ্যতের জন্য পরিবেশবান্ধব বিল্ডিং
- anjoncucse
- Jan 26
- 2 min read
LEED (Leadership in Energy and Environmental Design) মূলত ভবনগুলোর energy efficiency বৃদ্ধি এবং environmental impact কমানোর জন্য একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত রেটিং সিস্টেম। এটি একটা রেটিং সিস্টেম, যা ভবনের design, construction, এবং operation–এর প্রতিটি ধাপে পরিবেশের ক্ষতি কমানোর দিকে জোর দেয়। এটি তৈরি করেছে US Green Building Council (USGBC)।
কেন LEED গুরুত্বপূর্ণ?
একটি বিল্ডিং বানানোর সময় শুধু ইট, বালু, সিমেন্ট নয়, এর পুরো construction process পরিবেশের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। বিশ্বে গ্রীনহাউজ গ্যাসের ৫০% আসে নির্মাণশিল্প থেকে। এছাড়া global economy-এর ৪০% বিল্ডিং কনস্ট্রাকশনের সঙ্গে জড়িত। তাই এই সেক্টরে environment-friendly নীতিমালা গ্রহণ করলে global climate change মোকাবিলায় বড় ভূমিকা রাখা সম্ভব।
LEED-এর মূল লক্ষ্য তিনটি:
1. Planet: এমন ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করা যা পরিবেশের জন্য কম ক্ষতিকর।
2. People: মানুষের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়া। উদাহরণস্বরূপ, বিষাক্ত রাসায়নিক মুক্ত paint ব্যবহার করা।
3. Profit: বিল্ডিং খরচ কমিয়ে আনা কিন্তু একই সাথে property value বাড়ানো।
LEED মূলত ভবনগুলোর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পয়েন্টের ভিত্তিতে certification দেয়। প্রতিটি বিল্ডিং কতটা পরিবেশবান্ধব, সেটা এই পয়েন্ট দিয়ে নির্ধারণ করা হয়। LEED সার্টিফিকেশন চারটি স্তরের হয়ে থাকে:
1. Certified: ৪০–৪৯ পয়েন্ট।
2. Silver: ৫০–৫৯ পয়েন্ট।
3. Gold: ৬০–৭৯ পয়েন্ট।
4. Platinum: ৮০ বা তার বেশি পয়েন্ট।
কীভাবে LEED পয়েন্ট অর্জন করা যায়?
একটা বিল্ডিং LEED-certified হতে হলে বিভিন্ন দিক থেকে পয়েন্ট অর্জন করতে হয়। এগুলোর মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো:
• Site Sustainability: বিল্ডিং বানানোর জায়গাটি পরিবেশবান্ধবভাবে ব্যবহার করা।
• Water Efficiency: পানির সাশ্রয় নিশ্চিত করা।
• Energy and Atmosphere: কম এনার্জি ব্যবহার করা এবং renewable energy ব্যবহারের দিকে মনোযোগ দেওয়া।
• Materials and Resources: টেকসই এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপকরণ ব্যবহার।
• Indoor Environmental Quality: ভবনের ভেতর environment-friendly রাখা।
• Innovation: নতুন, environment-friendly কোনো idea বাস্তবায়ন করা।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে LEED
অনেকের ধারণা LEED শুধু উন্নত দেশের জন্য কার্যকর। কিন্তু সত্যি বলতে, LEED এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যা বিশ্বের যেকোনো দেশের জন্য প্রযোজ্য।
বাংলাদেশেও LEED গাইডলাইন ফলো করা সহজ। উদাহরণস্বরূপ:
• Rainwater Management: বৃষ্টির পানি ধরে তা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা।
• Heat Island Reduction: এমন ছাদ ব্যবহার করা যা কম তাপ শোষণ করে।
• Waste Management: নির্মাণ থেকে তৈরি বর্জ্য সঠিকভাবে ম্যানেজ করা।
যদি সার্টিফিকেশন না করানো হয়, তবুও LEED-এর guideline ফলো করলে ভবনটি পরিবেশবান্ধব হবে এবং খরচও কমবে।
LEED অ্যাক্রেডিটেশন কী?
LEED অ্যাক্রেডিটেশনে দুইটি ধাপ রয়েছে:
1. LEED Green Associate: এটা বেসিক লেভেলের সার্টিফিকেশন, যেখানে green building–এর মৌলিক ধারণাগুলো শেখানো হয়।
2. LEED Accredited Professional (LEED AP): যারা LEED নিয়ে বিশেষায়িত (specialized) কাজ করতে চান, তারা এই সার্টিফিকেশন নিতে পারেন।
আজকের দিনে construction এবং real estate industry-তে LEED-এর গুরুত্ব অনেক বেশি। এটি শুধু পরিবেশ রক্ষা করে না, বরং দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিকভাবেও লাভজনক।
Comentários